০৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ নিহত ২০

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:২৩:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ২৯০ বার পড়া হয়েছে

ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ নিহত ২০

বুধবার(০৪ ডিসেম্বর)অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস এলাকার আল-মাওয়াসি অঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এই আক্রমণের ফলে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এই শরনার্থী শিবিরে যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল।

আল-মাওয়াশি অঞ্চলটিকে “নিরাপদ এলাকা” হিসাবে ঘোষণা করার পরও হামলা করা হয়েছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে হামলার কারণ হিসেবে সামরিক কার্যকলাপের উপস্থিতি দাবি করা হলেও স্থানীয় সূত্র বলছে, এই এলাকায় কেবল সাধারণ মানুষ এবং বাস্তুচ্যুতরা ফিলিস্তিনিরা ছিল।

সাম্প্রতিক এই হামলা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের ভয়াবহ অবস্থার চিত্র তুলে ধরেছে। গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নেতৃত্বে চালানো হামলার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে আসছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪,৫৩২ জন নিহত এবং ১,০৫,৫৩৮ জন আহত হয়েছে।

এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী ল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলেও হামলা অব্যাহত রেখেছে। মজদাল জাউনের একটি স্থানে হামলার কথা উল্লেখ করে ইসরায়েলি বাহিনীএটিকে রকেট উৎক্ষেপণের কেন্দ্র বলে দাবি করেছে। তবে এই হামলা এমন সময়ে ঘটেছে যখন হিজবুল্লাহর সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর রয়েছে। লেবাননে এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৪,০৪৭ জন নিহত এবং ১৬,৬৩৮ জন আহত হয়েছে।

গাজা এবং লেবাননের চলমান এই সহিংসতা মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই সংঘাত থামানোর আহ্বান জানালেও যুদ্ধ থামার কোনো স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তথ্যসূত্র : আল- জাজিরা

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ নিহত ২০

আপডেট সময় ০৩:২৩:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ নিহত ২০

বুধবার(০৪ ডিসেম্বর)অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস এলাকার আল-মাওয়াসি অঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এই আক্রমণের ফলে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এই শরনার্থী শিবিরে যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল।

আল-মাওয়াশি অঞ্চলটিকে “নিরাপদ এলাকা” হিসাবে ঘোষণা করার পরও হামলা করা হয়েছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে হামলার কারণ হিসেবে সামরিক কার্যকলাপের উপস্থিতি দাবি করা হলেও স্থানীয় সূত্র বলছে, এই এলাকায় কেবল সাধারণ মানুষ এবং বাস্তুচ্যুতরা ফিলিস্তিনিরা ছিল।

সাম্প্রতিক এই হামলা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের ভয়াবহ অবস্থার চিত্র তুলে ধরেছে। গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নেতৃত্বে চালানো হামলার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে আসছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪,৫৩২ জন নিহত এবং ১,০৫,৫৩৮ জন আহত হয়েছে।

এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী ল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলেও হামলা অব্যাহত রেখেছে। মজদাল জাউনের একটি স্থানে হামলার কথা উল্লেখ করে ইসরায়েলি বাহিনীএটিকে রকেট উৎক্ষেপণের কেন্দ্র বলে দাবি করেছে। তবে এই হামলা এমন সময়ে ঘটেছে যখন হিজবুল্লাহর সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর রয়েছে। লেবাননে এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৪,০৪৭ জন নিহত এবং ১৬,৬৩৮ জন আহত হয়েছে।

গাজা এবং লেবাননের চলমান এই সহিংসতা মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই সংঘাত থামানোর আহ্বান জানালেও যুদ্ধ থামার কোনো স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তথ্যসূত্র : আল- জাজিরা