০৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

বগুড়ায় সরকারি সম্পত্তিতে রাতারাতি অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আওয়ামিলীগ নেতার দোকান উচ্ছেদ হয়নি এখনো

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৭২ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি,  বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের এরুলিয়া হাটে জেলা পরিষদের সরকারী সম্পত্তিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের শাসনামলে রাতারাতি অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানঘর গুলো উচ্ছেদ করা হয়নি এখনো। এতে করে সরকার একদিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে অপরদিকে জুলাই বিপ্লবে নিহত শহীদদের রক্তের উপরে পা দিয়ে দিদারছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে  যাচ্ছেন আওয়ামীলীগ নেতা। যা গনঅভ্যুথানের সাথে বড়ই বেমানান ও লজ্জাজনক।

ঘটনাটির ‎অনুসন্ধানে জানা যায়, বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মানিক এর তত্বাবধানে দোকানঘর গুলো রাতারাতি তৈরী করা হয়েছিল। যা দেশের পটপরিবর্তনের পরেও এখনো সেই দোকানঘরের ভাড়া তুলে খাচ্ছেন ঐ নেতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, গত ২০২২ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে মানিক আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে রাতারাতি সরকারী জায়গায় স্থায়ীভাবে অবৈধ দোকান গুলো নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছে। এখানে ৮টি দোকান ভাড়া দিয়ে সেই অর্থ আত্মসাৎ করে যাচ্ছে। এমনকি এক ব্যবসায়ী ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি মানিকের নিকট থেকে দোকান কিনে লেদের দোকান দিয়েছে। যা সম্পুর্ণ বেআইনী।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন  আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মানিক বলেন, আওয়ামীলীগের আমলে আমরা হাট ইজারা নিয়েছিলাম তখন দোকান ঘর গুলো নির্মাণ করেছিলাম। এখন অবশ্য সবকিছু ম্যানেজ করে নিয়েছি। তবে সরকার যদি ভেঙে ফেলে তাহলে আমার কিছু করার নাই। যেহেতু ৫ আগস্টের পর দোকান গুলো ভাঙ্গেনি সেহেতু আর উচ্ছেদ হবেনা বলে মনে হয়।

এরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক বলেন, উক্ত জায়গা জেলা পরিষদের। প্রায় ০৪ বছর পূর্বে আওয়ামীলীগের আমলে প্রভাব খাটিয়ে স্থায়ী দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। যদি জেলা পরিষদ জায়গাটি বুঝে নিয়ে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে নতুন করে মার্কেট নির্মাণ করে দেয় তাহলে সরকারী জায়গায় দখলমুক্ত হবে অপরদিকে সরকারের রাজস্ব আদায় হবে।

‎এব্যাপারে বগুড়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোঃ শাহনেওয়াজ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার নিয়োগের মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বগুড়ায় সরকারি সম্পত্তিতে রাতারাতি অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আওয়ামিলীগ নেতার দোকান উচ্ছেদ হয়নি এখনো

আপডেট সময় ০১:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি,  বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের এরুলিয়া হাটে জেলা পরিষদের সরকারী সম্পত্তিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের শাসনামলে রাতারাতি অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানঘর গুলো উচ্ছেদ করা হয়নি এখনো। এতে করে সরকার একদিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে অপরদিকে জুলাই বিপ্লবে নিহত শহীদদের রক্তের উপরে পা দিয়ে দিদারছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে  যাচ্ছেন আওয়ামীলীগ নেতা। যা গনঅভ্যুথানের সাথে বড়ই বেমানান ও লজ্জাজনক।

ঘটনাটির ‎অনুসন্ধানে জানা যায়, বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মানিক এর তত্বাবধানে দোকানঘর গুলো রাতারাতি তৈরী করা হয়েছিল। যা দেশের পটপরিবর্তনের পরেও এখনো সেই দোকানঘরের ভাড়া তুলে খাচ্ছেন ঐ নেতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, গত ২০২২ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে মানিক আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে রাতারাতি সরকারী জায়গায় স্থায়ীভাবে অবৈধ দোকান গুলো নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছে। এখানে ৮টি দোকান ভাড়া দিয়ে সেই অর্থ আত্মসাৎ করে যাচ্ছে। এমনকি এক ব্যবসায়ী ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি মানিকের নিকট থেকে দোকান কিনে লেদের দোকান দিয়েছে। যা সম্পুর্ণ বেআইনী।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন  আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মানিক বলেন, আওয়ামীলীগের আমলে আমরা হাট ইজারা নিয়েছিলাম তখন দোকান ঘর গুলো নির্মাণ করেছিলাম। এখন অবশ্য সবকিছু ম্যানেজ করে নিয়েছি। তবে সরকার যদি ভেঙে ফেলে তাহলে আমার কিছু করার নাই। যেহেতু ৫ আগস্টের পর দোকান গুলো ভাঙ্গেনি সেহেতু আর উচ্ছেদ হবেনা বলে মনে হয়।

এরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক বলেন, উক্ত জায়গা জেলা পরিষদের। প্রায় ০৪ বছর পূর্বে আওয়ামীলীগের আমলে প্রভাব খাটিয়ে স্থায়ী দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। যদি জেলা পরিষদ জায়গাটি বুঝে নিয়ে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে নতুন করে মার্কেট নির্মাণ করে দেয় তাহলে সরকারী জায়গায় দখলমুক্ত হবে অপরদিকে সরকারের রাজস্ব আদায় হবে।

‎এব্যাপারে বগুড়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোঃ শাহনেওয়াজ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার নিয়োগের মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।