দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা
- আপডেট সময় ০১:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১৬ বার পড়া হয়েছে
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা
গণরায় ডেস্ক:
আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সদ্য গ্রেপ্তার হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন। দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে মঙ্গলবার রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে তা ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের দপ্তরে তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারী টিম। তারা সামরিক আইন জারির রাতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের নথিপত্র জব্দ করেছেন।
অনলাইন বিবিসি বলছে, গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যর্থ সামরিক আইন জারির পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পদত্যাগ করেছিলেন কিম ইয়ং। পরে তদন্তের লক্ষ্যে তাকে গত রোববার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিচার মন্ত্রণালয়ের সংশোধনাগারের প্রধান শিন ইয়ং-হে বলেছেন, কিম ইয়ং-ইউন মঙ্গলবার গভীর রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন তাকে প্রহরীদের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।
দক্ষিণ কোরিয়াতে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল। এর জেরে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। কিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে তিনিই প্রেসিডেন্টকে সামরিক আইন জারির পরামর্শ দিয়েছিলেন। এর জেরে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে পদত্যাগ করেছিলেন কিম ইয়ং-হিউন। তার বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন।
প্রেসিডেন্টের সামরিক আইন জারির ঘোষণার পর পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সিউলের জনগণ। দেশটির পার্লামেন্টের সদস্যরাও সামরিক আইন ঘোষণার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিক্ষোভের মুখে সামরিক আইন জারির ঘোষণা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট। দেশে শুরু হয় রাজনৈতিক টানাপড়েন। প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পার্লামেন্টে অভিশংসনের উদ্যোগ নেন বিরোধীরা। তবে ক্ষমতাসীন দল সেই উদ্যোগ রুখে দেয়। যদিও নিজ দলের ভেতরেই চরম বাধার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট। এখনও দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতি বেশ উত্তপ্ত রয়েছে।
কেন হঠাৎ করে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট সে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তরে তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। রয়টার্স জানিয়েছে, সামরিক আইন জারির রাতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে। এই তল্লাশি অভিযানে অংশ নিয়েছেন মোট ১৮ জন সদস্য।